• সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫১
সর্বশেষ :
নকল ওষুধ বিক্রির দায়ে টাঙ্গাইলে লাজফার্মাকে জরিমানা ২ লাখ অবৈধ ফুটপাত উচ্ছেদ দাবিতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি ‌কি‌শোরগ‌ঞ্জ থানায় আসামিরা দিচ্ছেন ওসিকে বিদায় সংবর্ধনার ক্রেস্ট ঈশ্বরগঞ্জের উন্নয়ন প্রশ্নে কোনো বিভাজন নয়, প্রয়োজন ঐক্য বিদ্যালয়ে অনিয়ম দুর্নীতি অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বোর্ড উল্টো বরখাস্ত করল সভাপতিকে মধ্যরাতে বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে জামায়াত আমিরের ফেসবুক স্ট্যাটাস কিশোরগঞ্জে খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন‌্য দোয়া চাইলেন যুবদল নেতা সৈয়দ শাহ আলম ইমরান খানের জীবিত থাকার কোনো প্রমাণ নেই ইটনায় টিসিবি পণ্য বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ কেরানীগঞ্জে তালাবদ্ধ ফ্ল্যাটে আগুনে দগ্ধ হয়ে নারীর মৃত্যু

ডুমুরিয়ার মাল্টা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হচ্ছে বিক্রয়

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া, খুলনা প্রতিনিধি  / ১৮৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪
মাল্টা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হচ্ছে বিক্রয়

ডুমুরিয়া উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ শুরু হয়েছে। এই উৎপাদিত মাল্টা এখানকার স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রেরণ করা হচ্ছে। এই উপজেলার উৎপাদিত মাল্টা খুবই সুস্বাদু ও রসালো। মাল্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় রসালো ফল মাল্টার চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

উপজেলা ঘুরে মাল্টা চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে মাল্টার গাছগুলোতে প্রচুর পরিমাণ মাল্টার ফলন হয়েছে। মাল্টার বাগানে গাছে গাছে থোকায় থোকায় মাল্টা শোভা পাচ্ছে। প্রতিটি গাছে এতই বেশি মাল্টা ধরেছে যে, ফলের ভারে গাছের ডালগুলো মাটির দিকে নুয়ে পড়েছে। আর এই মাল্টা চাষেই খুলছে এই উপজেলার মানুষের ভাগ্যে চাকা। দূর-দূরান্ত হতে মাল্টা বাগানে ব্যবসায়ীরা আসছেন মাল্টা কেনার জন্য। বর্তমানে এই মাল্টাগুলো স্থানীয় বাজারগুলোতে ১শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ৩ হাজার টাকা মণ দরে বাগান হতে মাল্টা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন।

 

এমনি একটি চিত্র চোখে পড়ে উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের থুকড়া গ্রামে। এই গ্রামের মাল্টা চাষি সেলিম জানান, উপজেলা কৃষি অফিসার সহযোগিতায় ২০০০ সালে ২০শতক জমিতে মাল্টা বাগান গড়ে তুলি। গত বছরে ৫০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করেছি। চলতি মৌসুমে পাইকাররা ১০০শত টাকা দাম কমে বিক্রি করবেন না বলেছেন, তিনি ৫০হাজার টাকার মাল্টা বিক্রির দাবি করছেন।

 

ডুমুরিয়া মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জি এম আমানুল্লাহ, জানান, তাদের উৎপাদিত পাকা মাল্টা উত্তোলন করা শুরু হয়েছে। তাদের উৎপাদিত মাল্টাগুলো বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। মাল্টা চাষ করে তারা লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, এই উপজেলার মাটি মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী। উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় দিন দিন এই উপজেলায় মাল্টা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে এই এলাকার মাল্টা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় প্রেরণ করা হচ্ছে। এ উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ হচ্ছে। চলতি মৌসুমে কুমারেশ মন্ডল নামে এক মাল্টা চাষি সরাফ পুর ইউনিয়নে
কালিকাপুর দত্ত ডাঙ্গায় ১শ শতক জমিতে মাল্টার বাগান লাগানো শুরু করেছেন।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com