• মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩১
সর্বশেষ :
হঠাৎ ক‌রে রাগ বে‌শি হওয়ার কার‌নে এবার বহুল আ‌লো‌চিত ও‌সি সামীম বদলী কিশোরগঞ্জে ভিপি ওয়ালি উল্লাহ্ রাব্বানী ফ্যানস্ এর উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত শিশুকে নিয়ে গেলো শিয়াল, বাড়ির পাশের ঝোপে মিললো ক্ষত-বিক্ষত দেহ কিশোরগঞ্জে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কোরআন খতম নকল ওষুধ বিক্রির দায়ে টাঙ্গাইলে লাজফার্মাকে জরিমানা ২ লাখ অবৈধ ফুটপাত উচ্ছেদ দাবিতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি ‌কি‌শোরগ‌ঞ্জ থানায় আসামিরা দিচ্ছেন ওসিকে বিদায় সংবর্ধনার ক্রেস্ট ঈশ্বরগঞ্জের উন্নয়ন প্রশ্নে কোনো বিভাজন নয়, প্রয়োজন ঐক্য বিদ্যালয়ে অনিয়ম দুর্নীতি অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বোর্ড উল্টো বরখাস্ত করল সভাপতিকে মধ্যরাতে বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে জামায়াত আমিরের ফেসবুক স্ট্যাটাস

মণিরামপুরে ছোটস্ত্রীকে জ বা ই করে হ ত্যার অভিযোগ

নূরুল হক, মনিরামপুর প্রতিনিধি / ১৭৭ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

মণিরামপুরে ছোট স্ত্রী স্বরুপ জাহান সাথীকে জবাই করে হত্যার পর বড় স্ত্রীসহ স্বামী আবদুর রশিদ মিটু পালিয়ে গেছে। নৃশংস এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে রোববার গভীর রাতে উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামে স্বামীর রাইস মিলর একটি কক্ষে।

 

সোমবার সকালে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

 

নৃশংসতম এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা দুপুরে মিটুর বাড়ি ও রাইস মিল হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। তবে ঘাতকসহ কাউকে পুলিশ আটক করতে পারেনি। নিহতের স্বজন ও পুলিশর দাবি ছোট স্ত্রীর পিতার বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে দ্বিতীয় দফায় টাকা এনে না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সাথীকে হত্যা করেছে স্বামী মিটু।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত জাহাতাপ মুন্সির ছেলে আবদুর রশিদ মিটু ছিল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত। ইতোপূর্বে সে অস্ত্র ও মাদকসহ র‌্যাবের হাতে আটক হয়ে কয়েকমাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়।

 

পরে সে এলাকায় আবারও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও মাদকের কারবার শুরু করে। খাটুয়াডাঙ্গা বাজারের পাশে মিটুর রয়েছে একটি রাইসমিল ও চাতাল। চাতালের পাশেই তার পাকা বাড়ি। এ বাড়িতেই স্ত্রী সন্তানসহ বসবাস করতো মিটু। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে তিন বছর আগে তার চাতালের শ্রমিক স্বরুপ জাহান সাথীর সাথে মিটু পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায় সাথীক মিটু বিয়ে করন। সাথী কাজিয়াড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম বক্সর স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে। বিয়ের পর ছোট স্ত্রী সাথীকে নিয়ে চাতালের আর একটি কক্ষে বসবাস করতো মিটু।

 

সাথীর মা ভানু বিবি জানান, গতবছর সাথী পিতার বাড়ির জমি বিক্রি করে ৪ লক্ষ টাকা দেয মিটুকে। গতমাসে আবারও মিটু সাথীকে চাপ দেয় পিতার বাড়ির বাকি জমি (সাথীর অংশ) বিক্রি করে টাকা এনে দেওয়ার জন্য। কিন্তু সাথী দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়েই মূলত: সাথীর সাথে মিটুর বিরোধ দেখা দেয়। রোববার রাতে খাবার শেষে মিটু এবং সাথী চাতালের ঘরে ঘুমাতে যায়। গভীর রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মিটু ঘুমান্ত অবস্থায় সাথীকে জবাই করে হত্যা করে। ওই রাতেই বড় স্ত্রী, ছেলে রিফাত ও মেয়েকে নিয়ে মিটু বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সোমবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাথীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নৃশংসতম এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা মিটুর বাড়ি ও রাইস মিলে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।

 

সহকারি পুলিশ সুপার (মণিরামপুর সার্কেল) ইমদাদুল হক, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ গাজী, যশারর ডিবি ও পিবিআই পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেসে মাঠে নেমেছেন হত্যার ক্লু উদঘাটন ও হত্যাকারীকে আটকের জন্য।

 

ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, মিটু ছিল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রেতা। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধীক মামলা রযেছে। এ রিপোর্ট লেখার সময় সাথী হত্যাকান্ডর ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com